মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ১২:২৫ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: ব্যবসায়ীদের বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির যুক্তি আর কূটকৌশলে পকেট ফাঁকা হচ্ছে ভোক্তার। ভোজ্যতেলের দাম ৭ টাকা বেড়ে ঠেকেছে লিটারে ২০৫ টাকা। ক্রেতারা বলছেন, বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, রাজধানীতে বেশকিছু সবজির দামও বেড়েছে।
হঠাৎ করেই গাজর ও শসার দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে আলুর দামও।
শুক্রবার (১০ জুন) এক কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা করে। আর শসা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে গাজরের দাম কেজিতে ২০ টাকা এবং শসার দাম ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
গাজরের দাম বাড়ার বিষয়ে এক ব্যবসায়ী জানান, ‘বর্তমানে দেশি গাজর নেই। বাজারে পাওয়া বেশির ভাগই গাজরই আমদানি করা। মূলত এ কারণেই গাজরের দাম এত বেশি।
গাজরের মতো সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে শসার। এক কেজি শসা এখন বিক্রি হচ্ছে, ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে শসার কেজি ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
এ ছাড়া নতুন করে বেড়েছে আলুর দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে এখন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। আর পেঁয়াজ গত সপ্তাহের মতো ৩৫-৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
তবে সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে বেশির ভাগ সবজির দাম। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে করলা।
কাঁচা পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, পটোল, ঢেঁড়স, ঝিঙে, চিচিঙ্গার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এ ছাড়া চালের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে রেকর্ড হওয়ার পর গত দুদিনে কমেছে দুই টাকা। বাজারে স্বস্তি ফিরেছে মাংসের দামে। খাসি ও গরুর মাংস আগের অবস্থায় থাকলেও সোনালি মুরগি কেজিতে ৩০ টাকা ও দেশি মুরগির দাম কমেছে প্রায় ৮০ টাকা।
মাছের বাজারে চাষের ও নদীর মাছে দাম রয়েছে স্থিতিশীল। তবে সরবরাহ কমায় ইলিশ ও চিংড়ির দাম বাড়তি বলে জানান বিক্রেতারা।